প্রাইমারি স্কুল শিক্ষকের যত সুযোগ-সুবিধা


 প্রাইমারী স্কুল শিক্ষকের জন্য যত সুবিধা-

● শুরুতেই বেতন হবে ১৩তম গ্রেডে (১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা)।

● বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, টিফিন ভাতা ও যাতায়াত ভাতা রয়েছে।

(চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকা, টিফিন ভাতা ২০০ টাকা ও যাতায়াত ভাতা ৩০০ টাকা পাবেন। বাড়িভাড়াও রয়েছে। তবে এলাকাভেদে বাড়িভাড়ায় কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য বাড়িভাড়া মূল বেতনের ৬০ শতাংশ। চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং সাভার পৌর এলাকার জন্য মূল বেতনের ৫০ শতাংশ বাড়িভাড়া। অন্যান্য স্থানের জন্য বাড়িভাড়া মূল বেতনের ৪৫ শতাংশ।)

● প্রতিবছর মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি অর্থাৎ ৫৫০ টাকা বেতন বাড়বে।

● বছরে মূল বেতনের সমপরিমাণ দুটি উৎসব ভাতা পাবেন। মূল বেতনের ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা রয়েছে প্রতিবছর।

● চাকরিজীবনে দুটি টাইম স্কেল পাবেন শিক্ষকরা।

● সহকারী শিক্ষক থেকে পদোন্নতি পেয়ে 'সহকারী প্রধান শিক্ষক' ও 'প্রধান শিক্ষক' হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

● অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য কল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।

● প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় সন্তানের জন্য পোষ্য কোটা রয়েছে।

● যোগ্যতা সাপেক্ষে আপনি এক বছর বিদেশে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবেন।

● চাকরির পাঁচ বছর পূর্ণ হলে আপনি পেনশনের আওতায় পড়বেন। চাকরি শেষে পাবেন ১৮ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ ল্যামগ্রান্ড, এক বছরের পিআরএল, অর্জিত মূল বেতনের ২৩০ গুণ পেনশন ও আজীবন পারিবারিক পেনশন। ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা। ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে হলে পেনশনারদের মাসিক চিকিৎসা ভাতা হবে ২ হাজার ৫০০ টাকা।

এছাড়াও নিজ জেলার নিজ উপজেলার নিজ গ্রামে বসেই শিক্ষকতা করতে পারবেন। ঢাকা বা অন্যান্য জায়গায় থেকে প্রতিমাসে ঘরভাড়া গুনতে হবে না। মা বাবাকে দেখাশুনা করতে পারবেন। সবুজ শ্যামল গ্রাম বাংলার বিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস নিতে পারবেন। শিক্ষকতা পেশাটাকে মানুষ সম্মানের চোখে দেখে। সর্বত্র সম্মান পাবেন। কারণে অকারণে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে ছুটি নিতে পারবেন। সরকারী অন্যান্য চাকরির মত প্রেশার নেই।

★সবকথার শেষ কথা হলো, প্রায় ৩ কোটি শিক্ষিত বেকারের দেশে সরকারী চাকরী যেখানে সোনার হরিণের চেয়েও মূল্যবান, সেখানে এত এত সুযোগ সুবিধা পাবার পরেও আপনি কেন নিজেকে এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করতে চান?? 

💥মোঃ শফিক আহমেদ,প্রশাসনিক কর্মকর্তা,প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

Post a Comment

0 Comments