NSI at a glance - NSI পরিচিতি

 NSI at a glance

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (National Security Intelligence) সাধারণত এনএসআই (NSI) নামে পরিচিত। এনএসআই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এর প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা।
আমেরিকার CIA ( Central Intelligence Agency), ভারতের RAW (Research and Analysis Wing), পাকিস্তানের ISI(Inter-Services Intelligence) এর মতো NSI ( National Security Intelligence) হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর প্রধান, জাতীয়, বেসামরিক, স্বাধীন ও আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থা।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা স্বাধীন এবং বিশ্বমানের গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এবং এর কর্ম পরিধিও ব্যপক। বিশ্বজুড়ে ১৯টি দেশে ৩৭টি শাখা অফিসের মাধ্যমে বৈদেশিক গোয়েন্দাবৃত্তির মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের কার্যক্রম চলছে।
NSI এর প্রধান কার্যালয়ঃ
এর প্রধান কার্যালয় সেগুনবাগিচা, ঢাকা-তে অবস্থিত। ১৯৭২ সালের ২৯শে ডিসেম্বর কেবিনেট মিটিং-এ একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে ‘জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটি মূলত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি কর্তৃত্বে পরিচালিত হয়। এটি স্বাধীন বেসামরিক গোয়েন্দা এজেন্সি।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়, সর্বেোচ্চ এবং একমাত্র স্বাধীণ গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে এ সংস্থার প্রধান কাজ হলো দেশি-বিদেশী বিভিন্ন সংস্থা, বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, গোষ্ঠি, পলিটিকাল পার্টি ,ধর্মীয়, সামাজিক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান/গোষ্ঠি এবং সন্ত্রাসী সংগঠন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ পূর্বক গোয়েন্দা প্রতিবেদন তৈরি এবং সরকারকে বিভিন্ন বিষয়ে উপদেশ প্রদান ও দেশের জন্য পতি-গোয়েন্দা(Counter-Intelligence against foreign Intelligence Agencies) কার্যক্রম গ্রহণ করা।
এনএসআই সরাসরি বাংলদেশের প্রধানমন্ত্রী তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় বিধায় অন্য কোন সরকারী সংস্থা এ সংস্থার কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করতে পারে না। স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এ সংস্থার কার্যক্রম দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তার মাধ্যমে সরকার বিভিন্ন বিষয়ে সঠিক দিকনির্দেশণা পাওয়ায় সরকারের সাফল্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
NSI এর Motto:
NSI এর নীতিবাক্য (Motto) হলো Watch and Listen for the Nation,To protect National security.
গঠনঃ
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন একটি অধিদপ্তর হলেও এসংস্থার মহাপরিচালক/Director General(D.G) এর পদমর্যাদা বাংলাদেশ সরকারের সচিব সমমান।
Director General প্রতিষ্ঠালগ্ন হতেই ম্যাজেট্রেসি ক্ষমতাসহ গ্রেফতারি(পুলিশি) ক্ষমতা প্রাপ্ত। এবং তাঁর এ ক্ষমতা লিখিত আদেশের মাধ্যমে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের প্রদান করতে পারেন।
সাংগঠনিক কাঠামো
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা’র সাংগঠনিক কাঠামো ব্যাপক এবং বিশাল। এ সংস্থা বর্তমানে আটটি উইংয়ের মাধ্যমে তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যেমনঃ
১) বহিঃ উইং (The Directorate of external),
২) সীমান্ত উইং (The Directorate of Border),
৩) অভ্যন্তরীণ উইং (The Directorate of Internal),
৪) নিরাপত্তা উইং (The Directorate of Security), বাংলাদেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের জন্য প্রয়োজনিয় কার্যক্রম গ্রহণ এবং সরকার ঘোষিত ভিভিআইপি-দের নিরাপত্তা প্রদান।
৫) প্রশাসন উইং (The Directorate of Administration), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা’র জনবল ব্যবস্থাপণা এবং গোয়েন্দাবৃত্তি কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনিয় লজিস্টিক সার্পোট প্রদান।
৬) প্রশিক্ষণ উইং (The Directorate of Training), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা’র জনবলের সঠিক প্রশিক্ষণ প্রদান, মানোন্নয়ন এবং সরকারী বিভিন্ন সংস্থাকে গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ।
৭) নগর অভ্যঃ উইং (The Directorate of City
Internal), বাংলাদেশের মহানগরীসমূহে গোয়েন্দাবৃত্তি এবং পতি-গোয়েন্দাবৃত্তি কার্যক্রম। আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রয়োজনিয় কার্যrক্রম গ্রহণ করা।
৮) কাউন্টার টেরোরিজম উইং (The Directorate of Counter Terrorism), টেরোরিস্টদের কার্যক্রম প্রতিরোধের মাধ্যমে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা এবং কৈদেশিক জন্য এবং প্রয়োজনিয় কার্যrক্রম গ্রহণ করা। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা’র সবচেয়ে বড় এবং বৃস্তিত উইং এটি এবং এর কার্য-পরিধি ব্যপক ও বিশাল।
মর্যাদার পদক্রমঃ
Director General (সচিব সমমান)
Director (অতিরিক্ত সচিব)
Additional Director (যুগ্ম-সচিব)
Joint Director (উপ-সচিব)
Deputy Director (সিনঃ সহকারী সচিব)
Assistant Director (সহকারী সচিব)
Field Officer
Junior Field Officer (JFO)
Watcher Constable (WC)
Armed Constable (AC)
NSI এর কাজ:
- বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থাটি দেশের বাইরের বিভিন্ন কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের,স্থানের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নে কার্যক্রম পরিচালনা করা;
- রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও অখন্ডতা, জঙ্গি তৎপরতা,বাইরের দেশের হুমকির বিষয়গুলি দেশের ভিতরে ট্যাকল দিয়ে গোয়েন্দা তথ্য জোগাড় করে বিশ্লেষণ করা, প্রয়োজন অনুসারে সরকারকে জানানো;
- সরকারী চাকুরীজীবীদের উপর নজর রাখা;
- যুদ্ধ কৌশল সংক্রান্ত ব্যাপারে সামরিক বাহিনীকে পরামর্শ দেয়া ইত্যাদি;
- রাষ্ট্রপতির বিশেষ অনুরোধে সেনাবাহিনী বা অন্যান্য সামরিক, আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় এবং NSI অফিসারদের মধ্য থেকে বাছাই করে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মাধ্যমে Clandestine Operation বা Covert Operation চালানো।
NSI এর প্রশিক্ষণ:
বাহিনীতে চুড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রথমে মৌলিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে হয়।সাধারণত গোপনীয়তা বজায় রেখে প্রশিক্ষণ হয়।চৌকশ এই গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের দেশে এবং দেশের বাইরে অনেক উচ্চতর ও বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ হয়। তবে সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী, বিমান বাহিনী, ডিজিএফআই’র সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রশিক্ষণ হয়, তাদের নিজস্ব ফ্যাসিলিটিতে।
NSI Institute:
বর্তমানে ঢাকার ঢাকার ধামরাইয়ে ৯.৫৬ একর জমির উপর জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নির্মান করা হচ্ছে, যেখানে এনএসআই সদস্যদের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থার সদস্যদেরকেও নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ দিতে পারবে।
NSI এর বেতন কাঠামো:
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বাহিনীতে সম্মান এবং দুঃসাহসিক ক্যারিয়ারের পাশাপাশি সদস্যরা সরকারের জাতীয় বেতন স্কেলে বেতন-ভাতাদি পেয়ে থাকেন। তবে যারা NSI তে চাকরি করে,অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তুলনায় বেশি হারে ভাতা পেয়ে থাকেন। ঝুকিপুর্ন কাজে অংশগ্রহণ করতে হয় বলে বাংলাদেশ সরকার তাদেরকে এই বিশেষ ভাতা প্রদান করে থাকে।
NSI এর পরীক্ষা পদ্ধতি:
চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হতে প্রার্থীকে প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং ভাইভা তিন ধাপে পরীক্ষা দিতে হয়। প্রিলিমিনারিতে ৮০ টি MCQ ছিল ২০১৯ সালে।আইবিএ ছিলো প্রশ্ন কর্তা।
@তথ্য সংগৃহীত ও পরিমার্জিত

Post a Comment

0 Comments