যারা ব্যাংকের প্রিলি পাশ করতে পারছেন না!

 যারা কোনো ভাবেই প্রিলি পাশ করতে পারছেন নাঃ

(নিজের এবং অন্যের ভুল থেকে শেখা)

সাধারণত কিছু বিষয় আমি লক্ষ করেছি জবের প্রিপারেশন নিতে গিয়ে।যেমনঃ

১. কমনের উদ্দেশ্যে গাইড বই পড়া

২. কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স কে বেশি গুরুত্ব দেয়া

৩. ইংরেজি গ্রামারে ব্যাসিক স্ট্রং না করে ভোকাবুলারিতে সময় বেশি দেয়া

৪. গণিতের ব্যাসিক স্ট্রং না করে বিভিন্ন গাইড বই মুখস্থ করা।

৫. বেশি কমনের লোভে মোটা মোটা অযথা তথ্যে ভরা বই মুখস্ত করা

৬. স্পেসিফিক জবের জন্য স্পেসিফিক জব সলুশান কেনা, যেমনঃ অমুক নিয়োগ সহায়িকা, তমুক নিয়োগ সহায়িকা

৭. নিজের স্ট্রং জোন না থাকা

৮. সারাদিন পড়তেছে, কিন্তু কি পড়তেছে, ৩/৪ বছরেও বোঝতেছে না।

৯.. xm হলে টাইম ম্যানেজমেন্ট বোঝতে না পারা, 

১০. মডেল টেস্ট না দেয়া।

১১. অনেক ক্যান্ডিডেট আছে, পড়ে কম বই কেনে বেশি। ভাইয়া, আমি তো এটার ৪৪ এর এডিশন নিয়েছি, ৪৫ এর টাও কি কিনবো? এমন পোস্ট করতে দেখা যায়।

১২. xm এর দিন কেন্দ্রের সামনে বসে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স বা যেকোনো বই পড়া।( এরা আসলে কোনো ক্যান্ডিডেট না। এদেরকে আপনি আগেই বাদ দিতে পারেন। যারা কিছু পারে না, তারা কেন্দ্রের সামনে বসে পড়ে।)

দেখেন আপনার সাথে কয়টা পয়েন্ট মিললো। সেগুলোর সমাধান করতে হবে।


তাহলে কি কি করবেন? 

একই সাবজেক্টের জন্য একাধিক প্রকাশনীর বই কেনা থেকে বিরত থাকুন। একটা বইই বারবার রিভিশন করুন।

আপনাকে পরিশ্রম করতেই হবে

ধৈর্য্য ধরতেই হবে

কোনো শর্টকাট নেই। 

কখনো অন্যের সাথে তুলনা করতে যাবেন না। এতে হতাশা বাড়বে। কার কোনটা  স্ট্রং জোন, কার ইফিসিয়েন্সি কেমন সেটা আপনি জানেন না।

প্রতি সাবজেক্টের জন্য একটি করে বই সিলেক্ট করুন, সেটা যেকোনো প্রকাশনীর হোক। তারপর বারবার রিভিশন করুন।।১ বার ২ বার পড়েই পজিটিভ ফলাফল আশা করা বোকামি।প্রত্যেকটা বই কম পক্ষে ৬/৭ বার করে শেষ করে পজিটিভ ফলাফল আশা করতে হবে।


নিয়মিত মডেল টেস্ট দিন। পাশ ফেল যাই করুন হতাশ হবেন না।মনে রাখবেন, মডেল টেস্টের উদ্দেশ্য পাশ করা না। বেশি বেশি প্রশ্ন ফেইস করা। এখানে টাইম ম্যানেজমেন্ট শিখে যাবেন।LIVE MCQ একটা সেরা প্লাটফর্ম। চাইলে অন্য কোথাও দিতে পারেন। তবে অনলাইনে। অফলাইনে মডেল টেস্ট দিয়ে নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না।


ফেসবকুরের বিভিন্ন গ্রুপ থেকে আপডেট তথ্য টুকে রাখুন যা আপনাকে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স কেনা বা পড়া থেকে রক্ষা করবে।পত্রিকা পড়তে পারেন।

xm হলে বেশি প্রশ্ন দাগানোর চেস্টা করবেন।


অনেকে কম দাগায়। অনেক ভালো ক্যান্ডিডেটকে কম দাগিয়ে ফেইল করতে দেখেছি। তাই যত পারবেন তত দাগাবেন। তবে যেসব প্রশ্ন আপনি জীবনে নাম শুনেন নি, আন্দাজ করতে পারছেন না, সেগুলো দাগাবেন না। এসব আপনি পারছেন না মানে কেউই পারছে না  তবে যদি মনে পারা প্রশ্ন পারছেন না বা ভুল করছেন, তাহলে ধরে নেবেন, আপনি প্রিলি পাশ করবেন না। আপনার রিভিশনের অভাবে এমন হচ্ছে ।বিসিএস হলে ১৬০+,  ব্যাংক হলে ৮৫+ দাগানোর অভ্যাস করুন। রিস্ক আপনাকে নিতেই হতো আর নিতেই হবে।


কেন্দ্রের সামনে বসে কখনো পড়বেন না। xm দিন কিছুই পড়বেন না। এটা আপনাকে কোনো হেল্প করবে না। উল্টা ব্রেইনে চাপ বাড়াবে।xm হলে পারা জিনিস ভুল করবেন।

অমুক নিয়োগ সহায়িকা বই থেকে ৪০ টার উপড় কমন আসছে, এতে খুশি হবার কিছু নেই। এই ৪০ টা সবাই পারছে। আপনাকে বাকি ৪০ টায় ভালো করতে হবে।।এজন্য কমনের উদ্দেশ্যে বই কিনবেনা বা পড়বেন না। ব্যাসিক স্ট্রং করুন।

xm হলে দেখাদেখি করবেন না। আপনি সঠিক টা দেখালেও সে আপনাকে ভুল বলে দিতে পারে অথবা সেটা ভুলটাই দাগিয়েছে। xm হলে অন্যের ভরসায় না নিজের ভরসায় যেতে হবে। দেখাদেখি করে হয়তো ১/২ মার্ক বাড়বে, পাশ আসবে না।

ইংরেজি গ্রামারে জোর দিন,  ভোকাব কম পারলেও সমস্যা নেই। 

গনিতের জন্য আমি বলবো, কোনো গাইড বই না পড়ে, যদি ৮ম, ৯ম শ্রেণীর গনিত ও উচ্চতর গনিতের অংক, আর বিভিন্ন বোর্ডে আসা mcq সমাধান করুন।।আপনার পিছনে তাকাতে হবে না। ব্যাসিক স্ট্রং হবে।

কোনো গনিত বা গ্রামার না বোঝলে youtube বা কাছের বন্ধুর হেল্প নিন।টাকা যত কম খরচ করা যায় তত ভালো।

একই বইয়ের একাধিক এডিশন বা নতুন এডিশন কেনার বোকামি থেকে দুরে থাকুন।আমি ২০১৬ সালে যে বইটা কিনেছিলাম, সেটাই এখনো পড়ি। আমার নতুন বই কেনার প্রয়োজন মনে হয় নি।

©আপনাদের এক সহযোদ্ধা

Post a Comment

0 Comments