বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রস্তুতি

 বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদের প্রস্তুতিঃ পর্ব ০১

আমার ইনবক্সে প্রাপ্ত যে প্রশ্ন গুলো সবচেয়ে বেশী এসেছে সেগুলোর কয়েকটির উত্তর দেয়ার চেষ্টা করছি এগুলো আমার নিজস্ব মতামত আপনারা যদি উপকৃত হোন তাহলে খুশি হব।

১.আপনি দিনে কত ঘন্টা পড়াশোনা করেছেন?

উঃ আমার মতামত হলো পড়াশোনার জন্য ধরাবাধা সময় নির্ধারন করা উচিত নয়।পড়ালেখাকে অফিস ডিউটির মতো মনে করলে যে ১০-৫ টা পর্যন্ত করলেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। বরং আমার মনে হয় যে এ রকম সময় বেধে পড়াশোনা করলে বরং তা মস্তিষ্কে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

২. আপনার স্টাডি প্ল্যান ছিল কি?

আমার ক্ষেত্রে স্টাডি প্ল্যান হলো কিছু নির্দিষ্ট টপিক বাছাই করা এবং সেগুলো শেষ করার জন্য একটি সময় নির্ধারন করা সেটা এক থেকে সাত দিন যে কোন সময় হতে পারে।খেয়াল রাখতে হবে আপনার নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত সময় যেন কোনভাবেই না লাগে।

৩. পত্রিকা পড়াটা কতটুকু জরুরী বা এর কোন বিকল্প আছে কিনা?

পত্রিকা পড়াটা সবসময়ই জরুরী।আপনার তিন ধাপের যে কোন ধাপেই এর থেকে প্রাপ্ত তথ্য কাজে লাগতে পারে।যে কোন একটি জটিল বিষয়ের সহজ ব্যাখ্যা আপনি পত্রিকায় পাবেন তা অন্য জায়গায় পাওয়া টা দুষ্কর।পত্রিকা প্রাপ্তি তে সমস্যা থাকলে ই পত্রিকা দেখতে পারেন।

৪.কোচিং না করলে কি সমস্যা হবে বা প্রস্তুতি তে ঘাটতি থাকবে?

কোচিং বিষয়টা পুরোপুরি ঐচ্ছিক।এর সাথে প্রস্তুতি ভালো বা খারাপ হবার সম্পর্ক নেই।আমি ব্যাক্তিগত ভাবে ব্যাংকের কোন কোচিং করিনি কিন্তু বি.এস.সি.এস এর চারটি ভাইভা দিয়েছি এবং চারটিতেই সফল।তবে আপনার ইংরেজি বা গনিতে খুব বেশী দূর্বলতা থাকলে কোচিং এর গাইডলাইন অনুসরন করতে পারেন।

কোচিং না করলেও মডেল টেস্ট পরীক্ষা দেয়াটা আপনাকে সহায়তা করবে এবং পরীক্ষা হলে আপনার কোন কোন জায়গায় সমস্যা হতে পারে তা চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে।

পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদের  প্রিলিমিনারী,লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার আলাদা আলাদা প্রস্তুতি সম্পর্কে ধারনা দেয়ার চেষ্টা করবো।

তানজিলুর রহমান অন্তর

সহকারী পরিচালক(সুপারিশপ্রাপ্ত)

বাংলাদেশ ব্যাংক

মেধাক্রমঃ ৮ম

Post a Comment

0 Comments