বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালকঃ আবেদনের যোগ্যতা ও সুযোগ সুবিধা-

 বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালকঃ আবেদনের যোগ্যতা ও সুযোগ সুবিধা-


 বাংলাদেশে যে কয়েকটি প্রথম শ্রণীর সরকারি চাকরি রয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক অন্যতম। বিশেষ করে যারা বৈধভাবে ০৩-০৬ বছরের মধ্যে ঢাকাতে ফ্ল্যাট ও গাড়ির মালিক হতে চান, তাদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় বিবির এডি জব। সম্প্রতি এডি ২০২৩ ব্যাচের চূড়ান্ত রেজাল্ট দেয়া হয়েছে। এছাড়া, এডি পরবর্তী ব্যাচের সার্কুলার দেয়া হয়েছে। অনেকেই তাই বিবি এডির আবেদন প্রক্রিয়া ও সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।


# আবেদনের যোগ্যতাঃ 

প্রার্থীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক ডিগ্রী থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনে কমপক্ষে ০২টি প্রথম বিভাগের রেজাল্ট থাকতে হয় এবং কোন অবস্থাতেই ৩য় বিভাগ গ্রহণযোগ্য না।


# বেতন-ভাতা ও বোনাস: 

একজন সহকারী পরিচালকের মাসিক মূল বেতন ২২,০০০/- টাকা স্কেলে হয় এবং ১ম শ্রেণীর পদে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় মূল বেতনের ৫% হারে একটি বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট যোগ হয়ে তা দাড়ায় ২৩,১০০/- টাকা। মূল বেতনের বাইরে প্রতি মাসে ৬০% হারে বাড়ি ভাড়া, ১,৫০০/- টাকা চিকিৎসা ভাতা, ইন্টারনেট বিল ভাতা বাবদ ১,০০০/-টাকা এবং মোবাইল বিল ভাতা বাবদ ৫০০/- টাকা পেয়ে থাকেন। বছরে মূল বেতনের সমপরিমাণ ০২টি উৎসব বোনাস দেয়া হয়। এছাড়াও, মূল বেতনের ২০% বৈশাখী বোনাস দেয়া হয়ে থাকে।


# চাকুরী স্থায়ীকরণ ও পদোন্নতিঃ 

০২ বছর শিক্ষানবিশকাল অতিক্রান্ত হলে এবং পজিটিভ পুলিশ ভেরিফিকেশন থাকা সাপেক্ষে  চাকুরী স্থায়ী হয়।  সাধারণত পদ খালি থাকা সাপেক্ষে ০৫ বছরের মধ্যে উপপরিচালক পদে পদোন্নতি প্রাপ্তি হতে পারেন।


# পোস্টিংঃ

বগুড়া অফিস ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও অন্য সবগুলো অফিসই বিভাগীয় মূল শহরে  হওয়ার কারণে  পোস্টিং নিয়ে খুব একটা ভয়ের কারণ নেই। 


# প্রশিক্ষণঃ 

সহকারী পরিচালক পদে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা Bangladesh Bank Training Academy (BBTA)-তে ০৩ মাস মেয়াদী একটা Foundation Training বা বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন এবং পরবর্তীতে প্রয়োজনীয়তা সাপেক্ষে লোকাল ও বৈদেশিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে। 


# ঋণ প্রাপ্তিঃ 

চাকুরীর মেয়াদ ০৩ বছর পূর্ণ হলে গৃহনির্মাণ বাবদ ১ কোটি ২০ লাখ টাকা পর্ন্ত ঋণ পাবেন এবং চাকুরী স্থায়ীকরণের ০৫ বছর পূর্ণ হলে গাড়ি ক্রয় বাবদ আরো ৩০ লাখ 

টাকা ঋণ পাবেন। 


# ছুটি সুবিধাঃ  

সকল কর্মকর্তা Casual Leave(CL) বাবদ বছরে ২০ দিন ছুটি পান। এছাড়া, প্রতি ১১ কর্মদিবসে ০১ দিন করে Ordinary Leave জমা হয়। চাকুরী জীবনে প্রতি ০৩ বছরান্তে একজন কর্মকর্তা Recreation Leave বাবদ ১৫ দিন ছুটি পান। ছুটির সময় সকল বেতন-ভাতা পেয়ে থাকেন এবং মূল বেতনের ১০০% হারে ভ্রমণ বাবদ ভাতা পান।


# চিকিৎসা সুবিধাঃ

বিধি মোতাবেক কর্মকর্তাগণ ও তাদের পোষ্যগণ চিকিৎসা সুবিধা পেয়ে থাকেন। 


# ডে-কেয়ার সুবিধাঃ 

বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল অফিসেই ডে-কেয়ার সুবিধা আছে যেখানে কর্মকর্তাগণ তাদের ০৬ মাস হতে ০৬ বছরের বাচ্চাদের সারাদিনের জন্য রাখতে পারেন।


# বিদেশে উচ্চ শিক্ষাঃ 

দেশের মধ্যে বিআইবিএম এর এমবিএম ছাড়াও বিদেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের লিয়াজো রয়েছে যেখানে পড়াশোনা করা অবস্থায় কর্মকর্তাগণ বেতন বোনাস প্রমোশন রেগুলার পেয়ে থাকেন। এছাড়াও, বিশ্বের সেরা ২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলেও বিবি থেকে সবরকম সহযোগিতা করা হয়।


 # Pension and GPF: 

অন্যান্য সরকারি চাকুরীর মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণকালে পেনশন, গ্রাচুইটি এবং সাধারণ ভবিষ্য তহবিল খাতের

টাকা পেয়ে থাকেন ।


এছাড়াও সাংস্কৃতিক চর্চা, নির্বাচন, খেলাধুলার প্রতিযোগিতা, লাইব্রেরি সুবিধা এবং অন্যান্য আরো কিছু সুযোগ সুবিধা রয়েছে যা চাকুরিতে জয়েন করার পর জানতে পারবেন। 

©

Post a Comment

0 Comments