বিসিএস পছন্দক্রম যেভাবে দিবেন!

 💥বিসিএস ক্যাডার পদসমূহের সুযোগ-সুবিধা এবং পছন্দক্রম সাজানোর কৌশল-প্রথম আলো।আবেদনের আগে অবশ্যই একবার পড়ে নেবেন🧡

৪৬তম বিসিএসের সার্কুলার প্রকাশিত হয়েছে।এই বিসিএসের মাধ্যমে সাধারণ এবং পেশাগত/কারিগরি ক্যাডারে সর্বমোট ৩১৪০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

বিসিএস ক্যাডার চয়েস আবেদনের সময় যেভাবে দেবেন,পরবর্তীতে তা আর পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে না।তাই, প্রতিটি ক্যাডারের কাজ,পদায়ন,সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে বুঝে ক্যাডার চয়েসের তালিকা প্রস্তুত করা উচিত।


সাধারণ ক্যাডার পদসমূহঃ

বিসিএস পররাষ্ট্রঃ


বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডার চাকরি প্রার্থীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে।শুরুতেই সহকারী সচিব হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করতে হবে।চাকরি স্থায়ী হলে আপনাকে দূতাবাসে পদায়নের জন্য বিবেচনা করা হবে। সেখানে থার্ড সেক্রেটারী হিসেবে যোগ দেবেন।লোকবল কম বলে পদোন্নতির সুযোগ বেশ ভালো।প্রায় সবাই  রাষ্ট্রদূত হতে পারেন। রাষ্ট্রদূতরা যেহেতু বিদেশে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন তাই ভালোই সম্মান পাবেন। দূতাবাসে পদায়ন হলে দেশের নিয়মিত বেতনের সাথে অতিরিক্ত ভাতা,বিনোদন ভাতা,বাসা ভাড়া,সন্তানের পড়াশোনার সম্পূর্ণ খরচ,পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়।পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তাগণ যেহেতু বিদেশীদের সাথে কাজ করেন,তাই তাদেরকে ইংরেজি কথোপকথনে পারদর্শী হতে হয়।পররাষ্ট্র ক্যাডারের ভাইভাতেও বেশিরভাগ প্রশ্ন ইংরেজিতে করা হবে।তাই যাদের ইংরেজিতে দক্ষতা বেশ ভালো,কেবল তারাই পররাষ্ট্র ক্যাডার প্রথম চয়েস দেবেন। প্রথমে না দিলে পরবর্তীতে এটি চয়েসে না রাখাই ভালো।মাঝে রাখলে নিশ্চিতভাবেই ভাইভা বোর্ডের প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন।পররাষ্ট্র ক্যাডার পেতে হলে লিখিত+মৌখিকে খুব বেশি নম্বর প্রয়োজন হয়ে থাকে,তাই যারা পড়াশোনায় খুব বেশি ডেডিকেটেড কেবল তারাই পররাষ্ট্র ক্যাডার চয়েসে রাখবেন।


বিসিএস প্রশাসন ও পুলিশঃ


বিসিএস প্রশাসন  ক্যাডারের কর্মকর্তাগণই দেশ পরিচালনায় সরাসরি যুক্ত থাকেন। শুরুতেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করবেন।দুই/তিন বছর পর এসি ল্যান্ড হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাবেন। ইউএনও হিসেবে বাড়ি-গাড়ির সুবিধা আছে।ডিসি,উপসচিব,যুগ্ন সচিব,অতিরিক্ত সচিব, সিনিয়র সচিব এমনকি কম বয়সে চাকরিতে জয়েন করলে মন্তিপরিষদ সচিব পর্যন্ত হতে পারবেন, যার মর্যাদা সংসদ সদস্য থেকেও বেশি।বিদেশ ভ্রমণ, বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনে কাজ করতে পারবেন। বিদেশে উচ্চশিক্ষা, ট্রেনিং সরকারি খরচে করতে পারবেন।স্হানীয় পর্যায়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন।

বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে চাকরি হলে আপনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এএসপি হিসেবে যোগদান করবেন। রাজশাহীর সারদায় একবছরের প্রশিক্ষণ নিতে হবে।এরপর জেলা পুলিশে এএসপি হিসেবে কাজ করবেন। আপনার পোস্টিং বিভিন্ন মেট্রোপলিটন পুলিশে হতে পারে। ইউএন মিশনে যাওয়ার সুযোগ থাকবে এবং খুব ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।পুলিশ হাসপাতালে সুচিকিৎসা পাবেন।

যোগদানের কিছুদিন পর থেকেই বাড়ি-গাড়ি, ড্রাইভার, বডিগার্ড ইত্যাদি বরাদ্দ পাবেন। তাছাড়া যেখানেই পোস্টিং হোক না কেন থাকা ও যাতাযাতের ব্যবস্থা সরকারীভাবে দেওয়া হবে।

মূল ধারার পুলিশিং ভালো না লাগলে আপনি এসএসএফ,র্্যাব,ডিবি,এসবি, সিআইডি, পিবিআই  সোয়াট,রেলওয়ে পুলিশ, শিল্প পুলিশ, পর্যটন পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ইত্যাদিতে কাজ করতে পারবেন।

আমাদের দেশের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ এবং ঐতিহ্যের কারণে এ দুটি ক্যাডার বিশেষ গুরুত্ব পেয়ে থাকে। কাজের ধরন ও দায়িত্বের কারণে সরকারের কাছেও তাঁদের আলাদা গুরুত্ব থাকে। যারা নেতৃত্ব,ক্ষমতা কিংবা অফিসের বস হিসেবে কাজ করতে পছন্দ করেন, তারা এ দু’টি ক্যাডার চয়েস লিস্টের শীর্ষে রাখতে পারেন।পুলিশ বা প্রশাসন যেকোনো একটিকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী আগে পরে রাখতে পারেন।তবে এ দু'টি ক্যাডারে কাজের চাপ অনেক বেশি।ছুটির দিনগুলোতেও কাজ করতে হতে পারে।পরিবারকে খুব বেশি সময় দিতে পারবেন না।তাই আপনার ব্যক্তিত্বের ধরন,জীবন পদ্ধতি এবং পরিবারের প্রত্যাশা বিবেচনা করে এই ক্যাডারগুলো চয়েস লিস্টে যথাস্থানে রাখবেন।


বিসিএস শুল্ক ও আবগারি, নিরীক্ষা ও হিসাব এবং করঃ


 এই তিনটি ক্যাডার অর্থ মন্ত্রণালয়ে কাজ করে। শুল্ক ও আবগারি ক্যাডার পরোক্ষ কর (কাস্টমস, এক্সাইজ, ভ্যাট) আর কর ক্যাডার প্রত্যক্ষ কর (আয়কর, ভ্রমণ কর, দান কর) সংগ্রহ করে। নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডার রাষ্ট্রের আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ করে। এই তিনটি ক্যাডারের মধ্যে শুল্ক ও আবগারি ক্যাডারে বৈধভাবে অতিরিক্ত উপার্জন করার সুযোগ বেশি।শুল্ক ফাঁকি ও চোরাচালান ধরতে পারলে সরকার থেকে মূল্যভেদে ১০-৪০% পর্যন্ত পুরস্কার পাবেন।এখানে পদোন্নতি খুব দ্রুত হয়। গাড়ী সুবিধা পাবেন।দেশে ব্যবসা বাণিজ্য যত বাড়বে  এই ক্যাডারের কাজও তত বাড়বে।

সরকারের যত আয় ও ব্যয় হয়, তার হিসাব ও নিরীক্ষা করেন অডিট ক্যাডাররা। এই বিসিএস ক্যাডার অনেক সম্মানজনক। সবাই অডিট ক্যাডারদের সমীহ করে চলেন।সরকারের প্রতিটি বিভাগেই খরচ ও আয়ের হিসাবে কিছু ভুল থাকেই। আর এই ভুল ধরেন অডিট ক্যাডাররা। তাই অন্য সব বিসিএস ক্যাডাররা অডিট ক্যাডারদের কিছু হলেও ভয় পান। সরকারের প্রতিটি বিভাগের কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেন অডিট ক্যাডাররা।

কর ক্যাডাররা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে সহকারী কর কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। সরকারের প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহ করা এই ক্যাডারের প্রধান কাজ।সরকারী বেসরকারী কোন আয়ের বিষয়ে সিআইসি গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। উক্ত কার্যক্রমের মাধ্যমে আহরিত রাজস্বের জন্য ইনসেন্টিভ পেয়ে থাকেন। কর ফাঁকি ধরতে পারলে মোটা অংকের পুরস্কার  পাওয়া যায় সরকারের পক্ষ থেকে।প্রতি বছর ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের সময় কাজের চাপ অনেক বেশি থাকে। এই সময় রাত ১০-১২টা পর্যন্ত কাজ করা লাগতে পারে।

এই তিনটি ক্যাডারেই কাজের চাপ কম।পদোন্নতি, কর্মপরিবেশ এবং সামাজিক মর্যাদার বিবেচনায় এগুলো খুবই পছন্দনীয় ক্যাডার পদ।যারা আমলাতান্ত্রিক কর্মব্যস্ততা এবং প্রশাসনিক কাজের চাপ পছন্দ করেন না,বরং নিরিবিলি,আরামদায়ক এবং টেনশনমুক্ত চাকরি জীবন প্রত্যাশা করেন,  তারা নিঃসংকোচে এই তিনটি ক্যাডার চয়েস লিস্টের প্রথম দিকে রাখতে পারেন।চয়েস লিস্টে  শুল্ক ও আবগারি,নিরীক্ষা ও হিসাব এবং কর এভাবে পর্যায়ক্রমে দিতে পারেন।


বিসিএস আনসার,তথ্য,বাণিজ্য, খাদ্য,রেলওয়ে পরিবহন,সমবায়,ডাক ও পরিবার পরিকল্পনাঃ


উল্লেখিত ক্যাডারগুলোর পরই আনসার ক্যাডার চয়েসে রাখতে পারেন। পদায়ন হবে জেলা পর্যায়ে।এই চাকরিতে ঝামেলা কম। শুরু থেকেই গাড়ী ও বাংলো সুবিধা আছে। পদোন্নতিও খুব ভালো।মহাপরিচালক পর্যন্ত হতে পারবেন।


বিসিএস তথ্য ক্যাডারে কাজের চাপ কম।কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই।বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতে পারবেন।

সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান) পদে যোগদান করলে টিভিতে ও বেতারে অনুষ্ঠান প্রচারের সকল দায়িত্বে থাকবেন।

দেশের আমদানি ও রপ্তানির সাম্যাবস্থা বাণিজ্য ক্যাডাররা দেখে থাকেন। ক্যারিয়ারের শুরুতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সহকারী বাণিজ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে যোগদান করতে হয়।কাজের চাপ কম।পদোন্নতিও খারাপ নয়।

বিসিএস রেলওয়ে পরিবহণ রেলওয়ের প্রশাসনিক দায়িত্ব  পালন করে থাকেন। চাকরির শুরুতে সহকারী ট্রাফিক সুপারিন্টেন্ডেন্ট হিসেবে যোগদান করতে হবে। এই ক্যাডারের সর্বোচ্চ পদ- মহাপরিচালক।কাজের চাপ কম।তাই প্রয়োজনীয় ছুটিও পাওয়া যায়।

এছাড়া অন্যান্য ক্যাডারগুলোতে উপজেলা পর্যায়ে পদায়ন হয়।তবে পদোন্নতি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তুলনামূলক কম।এগুলো আপনার নিজস্ব পছন্দ মাফিক পর্যায়ক্রমে সাজিয়ে নেবেন।


প্রফেশনাল/টেকনিক্যাল ক্যাডার পদসমূহঃ


বিসিএস শিক্ষাঃ


বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে চাকরি হলে আপনি সরকারি কলেজসমূহে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করবেন।কাজের চাপ অনেক কম।প্রচুর অবসর সময় পাবেন। শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতি সংক্রান্ত জটিলতা থাকলেও সম্প্রতি তা নিরসনের জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।পরীক্ষার হলে ইনভিজিলেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন ও খাতা মূল্যায়ন করে বাড়তি উপার্জনের সুযোগ আছে। দেশে ও দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা ও ট্রেনিংয়ের সুযোগ পাবেন। সেখান থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। বিভাগীয় ট্রেনিং হয় ঢাকা কলেজের পাশে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে।

বিভিন্ন কমিটি যেমন- ক্রয় কমিটি, টেন্ডার কমিটি, স্পোর্টস কমিটি, কালচারাল কমিটি, ভর্তি কমিটি, পরীক্ষা কমিটি, বিভিন্ন জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি ইত্যাদি কমিটির দায়িত্ব পালন করে আপনি আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবেন।স্নাতক বা স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণি থাকলে একটা অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট বেশি পাবেন।তবে শিক্ষা ক্যাডার মানে শুধু কলেজে শিক্ষকতা করাই নয়। আপনি দেশের সকল শিক্ষাবোর্ড, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমী (নায়েম), জাতীয় কারিকুলাম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি), আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন শিক্ষা সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারবেন।


বিসিএস স্বাস্থ্য, কৃষি,সড়ক ও জনপথ,কারিগরি শিক্ষা এবং অন্যান্যঃ


এই ক্যাডার পদসমূহ টেকনিক্যাল বিষয়সমূহের সাথে সম্পৃক্ত। বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তাগণ সহকারী সার্জন হিসেবে এবং কৃষি ক্যাডারের কর্মকর্তাগণ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা পর্যায়ে পদায়ন পেয়ে থাকেন।সর্বোচ্চ তৃতীয় গ্রেড পর্যন্ত পদোন্নতি পাওয়া যায়।এছাড়া অন্যান্য টেকনিক্যাল ক্যাডারগুলোতেও যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।


গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাঃ


১.আপনি চাইলে শুধু পেশাগত/টেকনিক্যাল ক্যাডার চয়েস দিতে পারেন।এতে আপনার ক্যাডার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।কারণ ভাইভা বোর্ড শুধু টেকনিক্যাল ক্যাডারের প্রার্থীদেরকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেন।এবং ভাইভাতে বেশির ভাগ প্রশ্ন আপনার পঠিত বিষয় থেকেই করা হবে।এছাড়া টেকনিক্যাল ক্যাডারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। 


২.আর যদি চান যে আগে জেনারেল ক্যাডার দেবেন,তারপর প্রফেশনাল/টেকনিক্যাল ক্যাডার দেবেন,তাহলে বোথ ক্যাডারে আবেদন করবেন। তবে যারা মৌলিক বিষয়গুলোতে স্নাতক-স্নাতকোত্তর করেছেন(যেমন-ইংরেজি,অর্থনীতি,গণিত,রসায়ন প্রভৃতি),তারা চাইলে প্রথমে পাঁচ/ছয়টা জেনারেল ক্যাডার চয়েস দিয়ে প্রফেশনাল /টেকনিক্যাল ক্যাডার মাঝে চয়েস দিতে পারেন।কারণ,এসব বিষয়ে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক-স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রচুর বাড়তি আয়ের সুযোগ থাকে।


৩.আর যদি প্রফেশনাল/টেকনিক্যাল ক্যাডারে যাওয়ার ইচ্ছা না থাকে,তাহলে শুধু জেনারেল ক্যাডারে আবেদন করবেন।


৪. ৪৬তম বিসিএসের সার্কুলারে যতগুলো পদ উল্লেখ আছে আপনি চাইলে এর সব কয়টি বা বাছাই করে কয়েকটি দিতে পারেন। এতো কোনো  সমস্যা নেই।তবে কিছু পদ বাদ দিলে আপনার ক্যডার হওয়ার সুযোগ সীমিত হয়ে যাবে।


৫.আপনি যে ক্যাডারগুলো চয়েস দেয়ার ক্ষেত্রে উপরের দিকে রাখবেন বিসিএসের রিটেন+ভাইভাতে মোট নাম্বার পাওয়ার উপর নির্ভর করবে আপনি কোন ক্যাডার পাবেন। বেশি নাম্বার পেলে প্রথম  পছন্দের ক্যাডারটি পাবেন, আরো কম হলে পরবর্তীটি পাবেন।এভাবেই ক্রমানুসারে চলবে।


৬.পিএসসি কতৃক চূড়ান্ত সুপারিশে আপনি যে ক্যাডারই পান না কেনো,পরবর্তীতে উপসচিব হিসেবে প্রশাসন ক্যাডারে যাওয়ার সুযোগ থাকবে। এক্ষেত্রে আপনাকে নিজ নিজ ক্যাডারে ষষ্ঠ গ্রেডে যাওয়ার পর পাঁচ বছর একই পদে চাকরি করতে হবে।উপসচিবদের পঁচাত্তর শতাংশ প্রশাসন ক্যাডার থেকে এবং বাকি পঁচিশ শতাংশ অন্যান্য ক্যাডার থেকে নিয়োগ পেয়ে থাকেন।


৭.সবশেষে বলবো,বিসিএসে আবেদনের সময় ক্যাডার চয়েস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পড়াশোনা, পরিবার,মন-মানসিকতা,জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এবং প্রতিটি ক্যাডারের কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী খুব ভেবেচিন্তে ক্যাডার চয়েস প্রস্তুত করুন।যাতে পরবর্তীতে কোনো অনুশোচনায় ভুগতে না হয়।

সোর্স- মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, ৪১তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত


Post a Comment

0 Comments